বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসন, মাদারীপুর এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, মাদারীপুর-এর যৌথ উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টে নেতৃত্ব দেন মোঃ মাসুম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মাদারীপুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম, নিরাপদ খাদ্য অফিসার, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, মাদারীপুর। ফেরদৌসী আক্তার, দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, সদর, মাদারীপুর এবং বাংলাদেশ পুলিশের একটি চৌকস দল।

উক্ত মোবাইল কোর্ট এ মাদারীপুর, সদর উপজেলার চৌরাস্তার মধুমতি ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরি নামক প্রতিষ্ঠানের ফ্যাক্টরিতে অস্বাস্থ্যকরভাবে বেকারি প্রডাক্টস উৎপাদন, নিম্নমানের খাদ্য সংযোজন দ্রব্য ব্যবহার, খাদ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য সনদ না থাকা, কীটপতঙ্গ দমনের ব্যবস্থা না থাকা, সকল পণ্যের বাধ্যতামূলক নিবন্ধন না থাকা, কেক তৈরীর জন্য ব্যবহৃত রঙ্গিন কাগজ, ফ্লেভার ইত্যাদির যথাযথ সনদ না থাকা, ফ্লোরে খাবার রাখা, রশিদ ও লেবেলবিহীন রাসায়নিকের ব্যবহার, কাঁচামালের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত চালান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। এসকল অপরাধের দায় স্বীকার করায় উক্ত প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ১ লক্ষ (১,০০,০০০) টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়। একই সাথে প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতে এ ধরণের অপরাধ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেওয়াা হয়। অন্যথায় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী মামলা করা হবে বলে সতর্ক করা হয়।
মাদারীপুর নিরাপদ খাদ্য অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, “আজ সদর উপজেলার চৌরাস্তার মধুমতি ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। সেখানে অস্বাস্থ্যকরভাবে নিম্নমানের খাদ্য সংযোজন দ্রব্য ব্যবহার, খাদ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য সনদ না থাকা, কীটপতঙ্গ দমনের ব্যবস্থা না থাকা, সকল পণ্যের বাধ্যতামূলক নিবন্ধন না থাকা, কেক তৈরীর জন্য ব্যবহৃত রঙ্গিন কাগজ, ফ্লেভার ইত্যাদির যথাযথ সনদ না থাকা, ফ্লোরে খাবার রাখা, রশিদ ও লেবেলবিহীন রাসায়নিকের ব্যবহার, কাঁচামালের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত চালান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানের মালিক। এ সব কারণে ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুম ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আরোপ ও আদায় করেন।”
Leave a Reply