রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফেরোজা বেগম (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের ভ্যান চালক মো. আলামিন কবিরাজের স্ত্রী।
মৃত ফেরোজার মেয়ে লাকি আক্তার বলেন, ‘আমার মা ফেরোজা গত মঙ্গলবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আমি তাকে শনিবার সকালে গৌরনদী হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখালে ডেঙ্গু পরীক্ষা দেয়।’
হাসপাতালের সামনের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্লাড পরীক্ষা করালে রিপোর্টে ডেঙ্গু ধরা পড়েনি। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে ওষুধ সেবনে ফেরোজা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরদিন রোববার সকাল ৯টার দিকে আমার মাকে হাসপাতালে নিয়ে ডা. টিপু সুলতানকে দেখালে ডেঙ্গু পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গু ধরা পড়ে এবং রক্তের প্লেটলেট ৩৬ হাজারে নেমেছে। এসময় ডা. টিপু সুলতান ব্যবস্থাপত্র দিয়ে তাৎক্ষণিক আমার মাকে (ফেরোজা) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে ভর্তির পর নার্সরা এসে স্যালাইন পুশ করে রোগীকে ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলে যায়। সারাদিনেও নার্সরা আমার রোগীর কাছে আসেনি। রাতে ফেরোজা ছটফট শুরু করলে কয়েকবার নার্সদের ডাকতে গেলেও তারা রোগীর কাছে আসেননি। নার্সদের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে ফেরোজা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ডিউটিরত নার্সরা হাসপাতাল থেকে ছুটে পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাহতা জারাব সালেহিন বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪৯২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হলেও ৪৭৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক রোগী স্ট্রোক করে মারা গেছে।
Leave a Reply