পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় দায়েরকৃত দুই চোখ উপড়ে ফেলে ও গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে হত্যা চেষ্টা মামলার পলাতক প্রধান আসামী সুমন শিকদারকে মুন্সিগঞ্জ হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ঘটনার বিবরণঃ এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, অত্র মামলার বাদী ইসমোতারা (৩৬), স্বামী-রমজান মোল্লা, সাং-দক্ষিণ বাইকশা, থানা-জাজিরা, জেলা-শরীয়তপুর গত ০৭-০৯-২০২৫ তারিখ অফিসার ইনচার্জ, পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা বরাবর এজাহারনামীয় ১০জন সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বি অভিযোগ দায়ের করেন যে, আসামীদের সাথে বাদীর স্বামীর পূর্ব হতে টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ইং ০৬/০৯/২০১৫ তারিখ বেলা অনুমান ১১:০০ টার সময় সময় ১নং বিবাদী সুমন শিকদার পাওনা টাকা দিবে বলে বাদীর স্বামী রমজান মোল্লাকে ফোন করে সুমনের বাড়িতে ডেকে নেয়। একই তারিখ অনুমান সাড়ে ১১ টার সময় ভিকটিম সুমনের বাড়ী পৌঁছালে সকল বিবাদী একই উদ্দেশ্যে বেআইনী জনতাবদ্ধে বাদীর স্বামী রমজানকে খুন করার জন্য কৌশলে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাধীন মোহর আলী শিকদার কান্দি এলাকার আবুল শিকদারের বাড়ীর পিছনে বাঁশ বাগানের মধ্যে নিয়ে আক্রমণ করে ভিকটিম রমজানের দুটি চোখ ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে উপড়ে ফেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। বাদীর এরূপ অভিযোগের ভিত্তিতে শরিয়তপুর জেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় একটি মামলা রুজু হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার ছবি-ভিডিও ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে অধিনায়ক, র্যাব-৮ এর দিক-নির্দেশনায় সিপিসি-৩ মাদারীপুর ঘটনায় জড়িত আসামী গ্রেফতার করার জন্য কাজ শুরু করে এবং বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ও র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ইং ১৪-০৯-২০২৫ তারিখ বিকালে মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন মুক্তারপুর বল্লালবাড়ি এলাকা হতে উক্ত ঘটনায় রুজুকৃত মামলার প্রধান আসামী সুমন শিকদার (২৫), পিতা-আলিমুদ্দিন শিকদার, সাং-মহর আলী শিকদার কান্দি, থানা-পদ্মা সেতু দক্ষিন, জেলা-শরীয়তপুর’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মামলা মূলে নারায়নগঞ্জ সদর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply