মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার দুটি অফিসে দুদকের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারি পরিচালক মোঃ আখতারুজামানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম পৌরসভা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপসহকারি পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমানসহ অন্যান্য সদস্য , রাজৈর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খোন্দকার আবদুল মতিনসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দুদক থেকে জানা যায়, রাজৈর পৌরসভার কর আদায়কারী এনামুল হকের বিরুদ্ধে সেবা গ্রহীতাদের সাথে অসদাচারনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পৌরসভায় গিয়ে দাপ্তরিক কাগজপত্র ঘেটে প্রাথমিক সত্যতা খুজে পাওয়া গেছে। তিনি(এনামুল)১৪ গ্রেডে চাকরি করে গ্রামের বাড়ীতে নকসা অনুমোদন না নিয়ে ৩ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বিলাসবহুল ভবন নির্মান করেছেন বলে দুদক টিমের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে। অন্যদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোঃ শামিম মুন্সীর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সাথে অসদাচারন, বিভিন্ন দুর্নীতিসহ জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদের সত্যতার প্রমান পান। অভিযানকালে শামিম মুন্সী তার ব্যক্তিগত ফাইল ও এনআইডি কার্ডসহ দুদক টিমের চাহিদা মোতাবেক অন্যান্য ফাইলপত্র দিতে তালবাহানা করেন। এসময় উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুলসান আরা দাপ্তরিক কাজে অফিসের বাইরে ছিলেন।
দুদকের মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আখতারুজামান জানান, দুদকের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেষনায় রাজৈর পৌরসভার কর আদায়কারী এনামুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত করে প্রমান হাতে পেয়েছি। পাশাপাশি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোঃ শামিম মুন্সীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদের সত্যতার প্রমান পেয়েছি। ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রাপ্ত কাগজপত্র আরো যাচাই বাছাই করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়ে দেব।
রাজৈর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুল হক জানান, দুদকের অভিযানে সত্যতা পাওয়ায় কর আদায়কারি এনামুল হককে ওই দপ্তর থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply