দক্ষিন বঙ্গের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে চলতী বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের কেউ পাস করেনি। এই বিভাগে শিক্ষার্থী ছিলেন সাতজন। তবে এদের শিক্ষাদানের জন্য রয়েছে ৬ জন শিক্ষক। তার পরেও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা ওই ৭জন শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় হঠাৎ জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার ঝর সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এদিকে সুনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলার কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা গেছে, গত ১৬ অক্টোবর এইচ এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা যায় কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা পাশের হার ছিলো শতকরা ৭৩. ৯৭ শতাংশ যা দেশের অন্যান্য কলেজ গুলোর থেকে এগিয়ে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে যখন দেখা যায় মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগের রেজাল্ট তুলনামূলক ভালো হলেও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ফলাফলের চরম ভরাডুবি ঘটেছে যেখানে ৭ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিলেও তাদের কেউ পাশ করতে পারেনি। এতে করে স্থানীয় অভিবাক ও কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আব্দুল করীম, সত্তার ও ওহাবসহ বেশে কয়েকজন অভিভাবক এবং সেচেতন ব্যক্তি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, যেখানে ৭জন শিক্ষার্থীর জন্য ৬জন শিক্ষক রয়েছে। সেখানে কেউ পাস না করা মানে শিক্ষকদের চরম দায়িত্বের অবহলা রয়েছে। যে কারনে দক্ষিন বঙ্গের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এছাড়াও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে অনার্সের বিভিন্ন শাখায় শিক্ষক থাকলেও নেই তেমন কোন শিক্ষার্থী। আসলে কে নিবে এর দায় ভার।
এ বিষয়ে কলেজের এডহক কমিটির বিদ্যোৎসাহী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক বেপারী বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি বর্তমানে কলেজের যা অবস্থা তাতে এরকম রেজাল্ট অস্বাভাবিক নয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শিক্ষকদের ক্লাসে যেতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজামুল হক তালুকদার বলেন, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার খাতা পুনঃ মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেছে। তবে আমাদের কলেজের রেজাল্ট অন্যান্য কলেজের তুলনায় ভালো হয়েছে।
Leave a Reply