শিশুদের বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়। তাই শিশুরা বড় হওয়া সময় তাদের খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন। তাদের যা খাওয়ানো হবে তার উপরই শিশুদের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং স্বাস্থ্য নির্ভর করে। সঠিক পুষ্টি সরবরাহ না হলে, শিশুদের শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে শরীরের ভেতরে ঘাটতি থাকলে তার অভাবজনিত লক্ষণ বাইরেও পরিলক্ষিত হয়। শিশুদের পুষ্টির অভাব হচ্ছে কিনা, তা বুঝবেন যেভাবে-
১. খেলার পর ক্লান্তি
শিশুখেলাধুলারপর শিশুপ্রায়ইক্লান্তবোধ করতে পারে। লক্ষণ হিসেবেবার বারঘুমাতেচাইতে পারে, মনোযোগ দিয়ে কাজ করতেওসমস্যাহতে পারে। এই সব সমস্যাআয়রন, ভিটামিনবি১২ও প্রোটিনেরঘাটতিরকারণে হতেপারে। শিশুর শরীরেশক্তিবজায়রাখার ও মস্তিষ্ক সচল রাখতেএইপুষ্টিউপাদানগুলোঅপরিহার্য।
২. চুল পড়া
শিশুদের লক্ষণীয়ভাবে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা ঘন ঘন চুল ভেঙে যাওয়া পুষ্টির অভাবে হতে পারে। প্রোটিন, বায়োটিন বা জিঙ্কের মাত্রা কমে গেলে চুল পড়ে যাওয়া তার ইঙ্গিত হতে পারে। চুলের স্বাস্থ্য শরীরে পুষ্টির অবস্থা, বিশেষ করে প্রোটিন গ্রহণের উপর নির্ভর করে।
৩. ঘন ঘন অসুখ
বছরে৬-৮বারজ্বরআসাস্বাভাবিকবলেমনেহলেও, আসলে তা পুষ্টির অভাবের কারণে হতে পারে। এছাড়াঘনঘনসর্দিহওয়া, সহজে সুস্থ না হয়ে ওঠাঅথবাবারবাররোগে আক্রান্ত হওয়া দুর্বলপ্রতিরোধক্ষমতানির্দেশকরে। এটাভিটামিনসি, ডি, জিঙ্কবাপ্রোটিনেরঘাটতিরকারণেহতেপারে। শিশুরগ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালইনফেকশনবাবুকেরইনফেকশন হলে, শিশুর প্রতি বিশেষনজররাখুন।
৪. দাঁতের সমস্যা
শরীরে পুষ্টির অভাব হলে শিশুদের দাঁত দেরিতে বেরোয়। এছাড়া শিশুর ওজন বা উচ্চতা প্রত্যাশা অনুযায়ী না হওয়াও পুষ্টির অভাবের নির্দেশক। এসব প্রোটিন, ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি-এর অভাব হতে পারে। সাধারণত ১ বছরের শিশুর ওজন প্রায় ১০ কেজি, ৬ বছরের শিশুর ২০ কেজি এবং ১০ বছরের শিশুর ৩০ কেজি হওয়া উচিত। একইভাবে, ১ বছরে ৭৫ সেমি, ৪ বছরের শিশুর ১০০ সেমি এবং ১০ বছরের শিশুর ১৩৭ সেমি উচ্চতা স্বাভাবিক ধরা হয়।
Leave a Reply